রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ ২২শে জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা তৃণমূলের ‘সংহতি মিছিল’ হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় ‘শর্তসাপেক্ষে’ সংহতি মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ, আগামী সোমবার ২২শে জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘সংহতি মিছিল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন, তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর সাথে তিনি ঐদিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য আবেদন করেছিলেন।
এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর করা আবেদনের স্বপক্ষে যুক্তি ছিল যে এর আগেও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাজ্যের কিছু বিশেষ স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে। তাই রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন কোথাও কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজন রয়েছে।
আজ এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি না মানলেও কিছু নির্দেশিকা দিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও আইজিকে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের সমস্ত জেলা ও ব্লকের মিছিল গুলির অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা তা জেলাশাসক ও পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
২২শে জানুয়ারি হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি জেলায় ও ব্লক স্তরে এই মিছিল গুলি হবে। একটি লিখিত নির্দেশে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানিয়েছেন জেলা এবং ব্লকের মিছিলগুলিতে সাধারণ মানুষ ও ধর্মগুরুদের শামিল করতে হবে। মিছিল যেখানে শেষ হবে সেখানে একটি মঞ্চে ধর্মগুরুদের সমন্বয় বার্তার আয়োজন করতে হবে।
হাই কোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলায় শান্তিসম্প্রীতির মিছিল হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট। শুভেন্দুরা বিভেদ চেয়েছিল। আদালত ওদের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছে।”