৩৫ আসনের টার্গেট পূরণ করতে এবার বিজেপির সাথে কাজ করবে ভোট কুশলী সংস্থা জার্ভিস।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখেও তার অনেক আগেই থেমে যেতে হয়েছিলো বিজেপিকে। এবার অমিত শাহ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে ৩৫ আসনের টার্গেট দিয়েছেন। সেই টার্গেট পূরণ করতে এবার বিজেপির সাথে কাজ করবে মুম্বই ভিত্তিক ভোট কুশলী সংস্থা ‘জার্ভিস’।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর সাহায্য নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন জয়ে আইপ্যাকের অবদান মেনে নেয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

২০২১ এর বিধান সভা নির্বাচনের ব্যর্থতা পর্যালোচনা করতে গিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি এটা বুজতে পারে নির্বাচনের আগে দেওয়া বিভিন্ন তথ্যে বিস্তর ভুল ও অসঙ্গতি ছিল। জেলা থেকে রাজ্য হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যে তথ্য-পরিসংখ্যান পৌঁছেছিল, তার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক ছিল অনেক। ২০২৩ এর লোকসভা ভোটে বিজেপির লক্ষ্য বাংলা থেকে ৩৫ টি আসন জেতা। তাই রাজ্য বিজেপির ওপর আস্থা না রেখে মুম্বইকেন্দ্রিক ভোট-কুশলী সংস্থা ‘জার্ভিস টেকনোলজি অ্যান্ড কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড’কে নিযুক্ত করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংস্থাটি মূলত পরিসংখ্যান বিষয়ে কাজ করে। বিজেপির জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যান দেওয়ার পাশাপাশি প্রচারে কোন এলাকায় কোন বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে তা-ও ঠিক করবে এই ভোট কুশালী সংস্থা। প্রথম ও দ্বিতীয় মোদী সরকারের সময় কারা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ‘লাভ’ পেয়েছেন, তার হিসাব করবে ‘জার্ভিস’। সেই সঙ্গে ‘জার্ভিস’ ঠিক করে দেবে কোন আসনে কেন্দ্রের কোন ‘সাফল্য’ প্রচার করলে নির্বাচনে সাফল্য আসবে। প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার সব ক্ষেত্রেই জার্ভিসের ভূমিকা থাকার সম্ভাবনা বেশি। ‘জার্ভিস’ কলকাতা সহ বাংলার সমস্ত জেলায় কাজ শুরু করেছে। 

দলের তরফে জার্ভিস এর দায়িত্বে থাকবেন বাংলার দায়িত্বে থাকা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল আর জার্ভিসের পক্ষে গোটা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন সংস্থার কর্তা দিগ্‌গজ মোগরা।

‘জার্ভিস’ এখন মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দফতর থেকে কাজ করেছে। খুব তাড়াতাড়ি সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিজেপি যে নতুন রাজ্য দফতর করেছে তার চার তলায় ‘জার্ভিস’ তাদের অফিস তৈরী করবে। আপাতত এখানথেকে কাজ শুরু করলেও কিছু দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ১৫ থেকে ১৭ টি অফিস, এবং পরবর্তী কালে লোকসভা ভিত্তিক অফিস হবে বলে জানা গেছে।

রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এ বিষয়ে বলেন, ‘‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনী লড়াইয়ের নিজস্ব কৌশল থাকে। সেটা দলের একেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে বলার জন্য নয়।’’

বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাংলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন দিগ্‌গজ। জেলায় জেলায় জার্ভিসের দফতর খোলার পরিকল্পনার বিষয়ে কথা হয়ে গেছে।

সোমবার রাতের দিকে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ ও সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের ফিরে যাওয়ার কথা। এই সময়ের মধ্যে দফায় দফায় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন নড্ডা ও শাহ। সেখানে জার্ভিস কী কাজ করবে, কী ভাবে করবে সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে।

 

Exit mobile version