সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ষড়যন্ত্র মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ( মাস্টারমাইন্ড ) ললিত মোহন ঝা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কার্তব্য পথ থানায় আত্মসমর্পণ করার পরে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ললিত ঝা-এর কলকাতা সংযোগ রাজ্যে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ললিত ঝা সম্পর্কে কিছু তথ্য –
- ঘটনার পর থেকে ললিত ঝা নিখোঁজ ছিল। সে বিহারের বাসিন্দা হলেও কলকাতায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ললিত সংসদের কাছে কার্তব্য পথের একটি থানায় আত্মসমর্পণ করেছে।
- ললিত কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং এর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিল।
- সে সংসদের বাইরে ধোঁয়ার ক্যানিস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো অভিযুক্তদের ভিডিও শুট করে। তারপর কলকাতার একটি এনজিও প্রতিষ্ঠাতাকে মিডিয়া কভারেজের জন্য ভিডিওগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়।
- এই মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্ত ললিত, পশ্চিমবাংলার নিবাসী নিলাক্ষা আইচ পরিচালিত একটি এনজিওর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ললিত ঝা তৃণমূল নেতার সঙ্গে যুক্ত ছিল। মজুমদার এক্স (X) তে TMC নেতা তাপস রায়ের সাথে ললিত ঝা-এর দুটি ছবি শেয়ার করেছেন।
Lalit Jha, the mastermind of the attack on our Temple of Democracy, had been in close association with TMC's Tapas Roy for a long time… Isn't this proof enough for investigation into the connivance of the leader? @AITCofficial @TapasRoyAITC @abhishekaitc #shameontmc pic.twitter.com/1PIVnnbGx9
— Dr. Sukanta Majumdar ( মোদীজির পরিবার ) (@DrSukantaBJP) December 14, 2023
ওই পোস্টে সুকান্ত মজুমদার লিখেন “আমাদের গণতন্ত্রের মন্দিরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝা, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের তাপস রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল….. এই প্রমাণ কি নেতার যোগসাজসের তদন্তের জন্য যথেষ্ট নয়?”
TMC নেতা ললিত ঝা-এর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন “আমরা জনপ্রতিনিধি; অনেক মানুষ আমাদের সঙ্গে ছবি তোলে, আমরা সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না”
ঘটনার পরে বাসে করে রাজস্থানের নাগৌরে পৌঁছায় ললিত মোহন ঝা। সেখানে সে তার দুই বন্ধুর সাথে দেখা করে এবং একটি হোটেলে রাত কাটায়। কিন্তু শীঘ্রই, ঝা বুঝতে পেরেছিল যে পুলিশ তাকে খুঁজছে, এবং সে বাসে করে দিল্লিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়, দিল্লি পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে বলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্তরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ‘ভগত সিং ফ্যান ক্লাব’-এর সাথে যুক্ত ছিল। এবং সবাই প্রায় ১৮ মাস আগে মাইসুরুতে মিলিত হয়।
সাগর এই বছরের জুলাই মাসে লখনউ থেকে দিল্লিতে আসে কিন্তু সংসদ ভবনে ঢুকতে পারেননি, পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে, মনোরঞ্জন ডি পুরানো সংসদে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সংসদে ঢুকে ছিল।
১০ ডিসেম্বর, প্রত্যেকে নিজ নিজ রাজ্য থেকে একের পর এক দিল্লি পৌঁছায় । এরপর তারা সবাই ইন্ডিয়া গেটের কাছে মিলিত হয় যেখানে রঙিন ধোঁয়ার ক্যানিস্টার তাদের দেওয়া হয়, পুলিশ জানিয়েছে। সংসদের নিরাপত্তা বেষ্টনী সহজ ভাবে অতিক্রম করার জন্য সাগর এবং মনোরঞ্জন তাদের জুতার ভিতরে ক্যানিস্টারগুলি লুকিয়ে রেখে।
পুলিশ বলেছে যে ললিত ঝা হামলার আগে চার অভিযুক্তের মোবাইল ফোন নিজের কাছে রাখে যাতে প্রয়োজনে তাদের ডিভাইস থেকে প্রমাণগুলি মুছে ফেলতে পারে৷