দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের ৬ বছরের “অযোগ্যতা” যুক্তিযুক্ত নয়।
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের (এমপি/এমএলএ) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত অ্যামিকাস কিউরি সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিজয় হানসারিয়া দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট, অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি পিআইএলে ২০১৬ সাল থেকে সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উপর নজর রাখছে।
রিট পিটিশনটি গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১ এর ধারা ৮ এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের মাত্র তার মুক্তির পর থেকে ৬ বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেয়।। পিটিশনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মামলায় যাবজ্জীবন নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
হানসারিয়া, বর্তমান এবং প্রাক্তন সাংসদ/বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় বিচার ত্বরান্বিত করতে আদালতকে সহায়তাকারী একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট।হানসারিয়া তার ১৯ তম প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছেন যে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্যতার সময়কাল ৬ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা স্পষ্টতই স্বেচ্ছাচারী এবং সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। তিনি ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে এই ধরনের দোষীদের স্থায়ীভাবে অযোগ্য ঘোষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিজয় হানসারিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আদালতকে জানান “কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য পরিষেবা বিধি অনুসারে, নৈতিক স্খলনে জড়িত কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে, কিন্তু একই পরিস্থিতিতে রাজনীতিবিদদের কেন কেবল ৬ বছরের জন্য ‘অযোগ্যতা’।এটা স্পষ্টতই অন্যায্য, যে দোষী সাব্যস্ত হবার পরও রাজনীতিবিদরা সংসদ ও বিধানসভায় পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন।”