সন্দেশখালির মামলা জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে। সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শোনার আর্জি জানান আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত।
আজ এই মামলার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেছিলেন, মামলাকারী কি কোন সমাজকর্মী? তিনি কি কোন বিশেষ ব্যক্তি? মামলাকারী ঘটনার পর কি নিজে সন্দেশখালি গেছিলেন?
আইনজীবী তার উত্তরে বলেন, ‘না,আমি যাইনি। তবে ওখানের বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ। মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে আছেন । এর পর প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘মিডিয়া রিপোর্ট এর ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা কেন? সিঙ্গেল বেঞ্চ আজ সন্দেশখালির মামলা শুনবে। সেটা আগে দেখুন।’
আইনজীবী কোর্টকে জানান যে , শুধু মিডিয়া রিপোর্ট নয়। রাজ্যপালের রিপোর্টও রয়েছে মামলায়।
প্রধান বিচারপতি সেই আর্জির প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, দ্রুত শুনানি এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। মামলা শোনা হবে হাইকোর্টের তালিকা অনুযায়ী। অর্থাৎ পর পর তালিকায় যেভাবে মামলা রয়েছে সেই অনুযায়ী সন্দেশখালির মামলা যখন আসবে তখনই সেটা শোনা হবে।
এদিকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলা ওঠে।
শুনানির পর মাননীয় বিচারপতি বলেন সন্দেশখালি যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালির চার জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই জায়গায় যেতে বাধা নেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
—————————বিজ্ঞাপন————————
———————————————————–
সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য আগে দু’বার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দুবারই পুলিশের বাধার সামনে পড়েন তিনি। প্রথমবার সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে আটকানো হয় তাঁকে। দ্বিতীয়বার সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রামপুরে পুলিশ তাঁকে আটকায় । তাই ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথমে ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। গতকাল রবিবার বিকেল চারটের পর চারটি জায়গায় ১৪৪ ধারা শিথিল করা হয়েছে।
আজ আদালতে রাজ্যের পক্ষে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ওই চারটি জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন কোনও সমস্যা নেই।বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ওই চারটি জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। তাই ঐ সব জায়গায় যাওয়া যেতেই পারে।
বিচারপতি পর্যবেক্ষণে এও জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেশের যে কোনো নাগরিকের অধিকার আছে দেশের সে কোন জায়গায় যাওয়ার। তবে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের বিধিনিষেধ থাকতে পারে। তবে সেই বিধিনিষেধ কতটা যুক্তিযুক্ত? সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে কী না সেটাও দেখার বিষয়। সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট খতিয়ে দেখতে পারে।
হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকে বলেছে , তিনি কোথায় যেতে চান তা নির্দিষ্ট করতে হবে তারপর সব দিক খতিয়ে দেখেই কলকাতা হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় দেবে।