ভারত নেপালকে ২৩ রানে পরাজিত করে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
হ্যাংজুতে ভারতের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কওয়াদ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওপেনার রুতুরাজ গায়কওয়াদ এবং জয়সওয়াল পাওয়ার প্লেতে চার ওভারের মধ্যে পঞ্চাশ রান করে ।
জয়সওয়াল তার হাফ সেঞ্চুরি করতে মাত্র ২২ বল খরচা করে। গায়কওয়াদ একদম ফর্মে ছিল না। অনেকগুলি ডট বল খেলে অবশেষে কয়েকটি বাউন্ডারি মারে কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি কারণ সে ২৫ রান করে হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়ানে ফেরে।৪৯ বলে ১০০ রান করে আউট হয় যশস্বী। আটটি চার এবং সাতটি ছক্কা ছিল তার এই সেঞ্চুরি ইনিংসে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় শতরান।
তিলক ভার্মা ও উইকেট রক্ষক জিতেশ শর্মা তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়। শেষে তিলক বর্মা ও রিঙ্কু সিং এর লড়াইয়ের জন্য ভারতীয় রান ৪ উইকেটে ২০২ ই পৌঁছায়।রিঙ্কু সিং ১৫ বলে ৪ টি ছক্কা ও ২ টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে।
জয়সওয়াল ২১ বছর নয় মাস ১৩ দিন বয়সে T20 তে সেঞ্চুরি করে শুভমান গিলের করা রেকর্ডটি ভেঙেছে। শুভমান ২৩ বছর ১৪৬ দিনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিল।যশস্বী জয়সওয়াল সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে T20I সেঞ্চুরি করলো ।
তুলনামূলক শক্তিশালী ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে নেপালি ব্যাটাররা অসামান্য লড়াই করেছে। তারা কুড়ি ওভার ৯ উইকেটে ১৭৯ রান করে।ক্রিকেটীয় দক্ষতায় ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা দল কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল। দীপেন্দ্র সিংহ আইরি, কুশল মাল্লা, সন্দীপ জোরার মতো ব্যাটারেরা ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাউন্ডারি মারতে শুরু করে।
ভারতীয় পেসার আরশদীপ সিং (২/৪৩) , আভেশ খান (৩/৩২) ,বাঁহাতি স্পিনার আর সাই কিশোর (১/২৫) এবং আইপিএল তারকা রবিবিষ্ণোই (৩/২৪) এর পারফরমেন্স আশানুরূপ ছিল না।
একদিকে নেপাল হেরে গেলেও এই লড়াই মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।অন্যদিকে যশস্বী ছাড়া ভারতীয় ব্যাটার এবং বোলারদের পারফরম্যান্সে প্রশ্নচিহ্নের মধ্যে থেকে গেল।