এবার নদীর তলা দিয়ে ছুটবে রেল। আগেই উদ্বোধনের চূড়ান্ত দিন জানিয়েছিল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ৬ মার্চ সকাল দশটা পনের মিনিটে কলকাতা মেট্রোর ৩টি রুটের মেট্রো উদ্বোধন করবেন মোদি। সূত্রের খবর, সেদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের তারাতলা-মাঝেরহাট অংশ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের নিউ গড়িয়া-রুবি অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই গঙ্গার নীচে টানেলের মধ্যে মেট্রোর সফল মহড়া চলছিল। গত বছরের শেষের দিকেই এই রুটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
কলকাতাই দেশের প্রথম শহর যেখানে নদীর তলা দিয়ে যাবে মেট্রো রেল। গঙ্গার নীচে দিয়ে ৫২০ মিটার টানেল পেরোতে মেট্রোর সময় লাগবে ৪৬ সেকেন্ড। হাওড়া মেট্রো স্টেশনটি ভারতের গভীরতম মেট্রো স্টেশন।
কলকাতা মেট্রো
১৯৪৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের তদনীন্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায় কলকাতার ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে শহরে একটি ভূগর্ভস্থ রেলপথ নির্মাণের কথা বিবেচনা করেন। একটি ফরাসি বিশেষজ্ঞ টীম সমীক্ষা চালায়। তবে তখন কোনো সুসংহত সমাধানসূত্র বের হয়নি।
১৯৭১ সালে নতুন করে আবার প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান করা হয়। সেই প্ল্যানে কলকাতার জন্য মোট ৯৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচটি মেট্রো লাইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই পাঁচটির মধ্যে সেসময় তিনটিকে বেছে নেওয়া হয়৷
সেগুলি হলো-
১) দমদম – টালিগঞ্জ
২) বিধাননগর – রামরাজাতলা
৩) দক্ষিণেশ্বর – ঠাকুরপুকুর
বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ লাইনটি উত্তরে দক্ষিণেশ্বর থেকে দক্ষিণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) পর্যন্ত ৩১.৩৬৫ কিলোমিটার প্রসারিত। এই পথে মোট স্টেশনের সংখ্যা ২৬ টি। ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১এ নোয়াপাড়ার পর থেকে বরানগর হয়ে লাইনটি দক্ষিণেশ্বর অবধি সম্প্রসারিত হয়। এই লাইনে মাটির নীচে ও ওপরে উভয় প্রকার ষ্টেশন রয়েছে।