পাকিস্তানের শিয়ালকোটে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হল শহীদ লতিফ, হাই-প্রোফাইল সন্ত্রাসী এবং পাঠানকোট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।
ভারতের এই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) অনেক দিন আগে থেকে খোঁজ চালাচ্ছিল। আজ বুধবার সকালে ফজরের নামাজের পর পাঞ্জাবের ( পাকিস্তানের অন্তর্গত ) শিয়ালকোটে নূর মদিনা মসজিদের ভেতরে ৪১ বছর বয়সী লতিফকে বন্দুকধারীরা পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে। তারপর তারা মোটরসাইকেলে চেপে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
শহীদ লতিফ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের একজন সন্ত্রাসবাদী। 20১৬ সালে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায় এই জইশ-ই-মোহাম্মদ।
১৯৯৬ সালে যখন লতিফকে ভারতের জম্মুতে মাদক ও সন্ত্রাসবাদ মামলায় গ্রেফতার করা হয় তখন থেকে সে সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত। তার কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার মৃত্যু এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যখন জয়শ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট IC-814 হাইজ্যাক করে ও ভারতের কারাগারে বন্দী ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদী ( HM সদস্য আহমেদ ওমর সাইদ শেখ এবং মাসুদ আজহার , মুশতাক আহমেদ জারগার ও লতিফের মুক্তি চায় তখন ভারত সরকার বাধ্য হয়ে তাদের মুক্ত করে।
উল্লেখ্য, গত মাসে করাচিতে মুফতি কায়সার ফারুক ও লস্করের জিয়াউর-রহমান নিহত হন।ফেব্রুয়ারিতে, শীর্ষ হিজবুল কমান্ডার বশির আহমেদ পিয়ার রাওয়ালপিন্ডিতে নিহত হয় । গত ১৮ মাসে পাকিস্তানে আরও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।