এই মাসের শুরুতে দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ইসরায়েলের ওপর ইরানের বড় ধরনের হামলা হতে পারে। ইসরায়েলও আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে ইরান “শীঘ্রই ইসরায়েলে” আক্রমণ করবে, কারণ এই মাসের শুরুতে বিমান হামলার কারণে শীর্ষ কমান্ডারদের নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। “আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় নিবেদিত। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন করব,” মিঃ বাইডেন বলেন। “আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সব রকম সাহায্য করব এবং ইরান এতে সফল হবে না।”
হামাস, কিছু ফিলিস্তিনি উগ্রপন্থী, লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রায়শই ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। ইরান এইসব উগ্রপন্থী সংগঠনকে সমর্থন ও পিছন থেকে সাহায্য করে বলে ইসরাইল বারবার অভিযোগ করে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশ ইসরায়েল ভ্রমণে সতর্কবার্তা দিয়েছে। জার্মানি তার নাগরিকদের ইরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েলে কূটনৈতিক কর্মীদের এবং তাদের পরিবারকে তেল আবিব, জেরুজালেম এবং বেরশেবা শহরের বাইরে ভ্রমণে নিষেধ করেছে।
সতর্কবার্তার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েলিরা সম্ভাব্য ইরানি হামলা নিয়ে চিন্তিত নন। জেরুজালেমের একটি বাজারে বার্তা সংস্থা এএফপিকে ড্যানিয়েল কোসম্যান বলেছেন, “আমরা জানি যে আমরা শত্রুদের দ্বারা ঘেরা, দক্ষিণে, উত্তরে, পূর্বে এবং পশ্চিমে।” “আমরা ভয় পাই না, আমি আপনাকে কথা দিতে পারি আমরা সুরক্ষিত।”