ভারতীয় জনতা পার্টি রাজস্থানে কংগ্রেসকে হারিয়ে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। বিজেপি মরু রাজ্যের ১৯৯ টি আসনের মধ্যে ১১৫ টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপি এই নির্বাচনে আগে থেকে কোন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করেনি । নির্বাচনে জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে । যে কটি নাম রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি করেছে তার মধ্যে একটি নাম আলওয়ারের সাংসদ বাবা বালকনাথ।
আলওয়ারের লোকসভা সাংসদ বাবা বালকনাথ রোহতকের বাবা মস্তনাথ মঠের প্রধান। তিনি তিজারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। বাবা বালকনাথ হলেন বাবা মস্তনাথ মঠের অষ্টম ‘মহন্ত’ যিনি ‘রাজস্থান কা যোগী’ নামে পরিচিত।
বালকনাথের বাবা-মা সুভাষ যাদব এবং উর্মিলা দেবী ছিলেন বাবা মস্তনাথ মঠের নিষ্ঠাবান অনুগামী এবং তাঁরা তাদের প্রথম সন্তানকে মঠের সেবায় উৎসর্গ করার শপথ করেছিলেন। বালকনাথ ১৬ই এপ্রিল, ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন । ২৯শে জুলাই, ২০১৬ সালে, ধর্মীয় গুরু বাবা চন্দনাথ, বালকনাথকে মঠের উত্তরসূরি এবং প্রধান হিসাবে ঘোষণা করেন । তিনি হিন্দু ধর্মে নাথ সম্প্রদায়ের অষ্টম প্রধান ও বাবা মস্তনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চ্যান্সেলর।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানের আলওয়ার থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের ভানওয়ার জিতেন্দ্র সিংকে ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁকে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে তিজারা থেকে নির্বাচনী টিকিট দিয়েছিলো ভারতীয় জনতা পার্টি । এই নির্বাচনে বিজেপি অনেক সাংসদকে টিকিট দিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন বাবা বালকনাথ।
অন্যান্য সংসদ সদস্যদের তুলনায় তার নামই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। তার ড্রেসিং স্টাইল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো। এই কারণেই তাকে ‘রাজস্থান কা যোগী’ বলা হয়। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা তিজারা থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান খানকে ৬১৭৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
তিনি এর আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বুলডোজার রাজ’-এর প্রশংসাও করেছেন। তবে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছে জানতে চাওয়া হলে, বালকনাথ সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “আপ সব কি কৃপা হ্যায়… আমি আমার জীবন জনসেবায় উৎসর্গ করেছি। মানুষের সেবা করি। আমি দলের সেবায় নিযুক্ত আছি।”
বাবা বালকনাথ ৭ ডিসেম্বর ২০২৩-এ লোকসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। অনুমান লাগানো হচ্ছে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ শুধু সময়ের অপেক্ষা।