আজ শীতকালীন অধিবেশনের ১১ তম দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভার কাজ শুরু শুরু হওয়ার পরই বিরোধী নেতারা গতকালের যে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা লোকসভায় ঘটেছে তার বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। স্লোগানের মধ্যে উভয় কক্ষ মুলতবি হয়ে যায়। বিকাল ২ টায় পুনরায় অধিবেশন শুরু হয়। উভয় কক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী সদন মে আও, অমিত শাহ শরম করো’ স্লোগান দেন বিরোধী দলের নেতারা।
রাজ্যসভায় টিএমসি সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে অসংসদীয় আচরণের জন্য শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। রাজ্যসভায় মাননীয় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বাক্যবিনিময় হয় ডেরেকের। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ওয়েলে নেমে স্লোগান না তুলে আসনে ফেরার নির্দেশ দিলেও ডেরেক ও ব্রায়েন তা মানেননি। এর পর তৃণমূলের সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আপনি আমার চেয়ারকে অবমাননা করছেন। এমন আচরণে আমি স্তম্ভিত।’’
Rajya Sabha adopts motion for suspension of TMC MP Derek O' Brien for the remainder part of the winter session for "ignoble misconduct" pic.twitter.com/A3MVk0Top9
— ANI (@ANI) December 14, 2023
এদিকে লোকসভায় বিরোধীদলের সংসদরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। স্পিকার ওম বিড়লা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা স্পিকারের কথা রাখেননি। এরপর লোকসভা থেকে কংগ্রেসের ৫ সংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। লোকসভায় অসাংবিধানিক আচরণের জন্য তাঁদের এই শাস্তি দিয়েছেন স্পিকার।
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সদস্যেরা হলেন কেরলের ইডুক্কী কেন্দ্রের সাংসদ ডিন কুরিয়াকোস, এরনাকুলামের সাংসদ হিবী ইডেন, আলাথুরের সাংসদ রম্যা হরিদাস, ত্রিশূরের সাংসদ টিএন প্রতাপন এবং তামিলনাড়ুর কারুর কেন্দ্রের সাংসদ জোথিমনী।
আরও পড়ুন : সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনে অভিযুক্ত পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একজন পলাতক। UAPA এর অধীনে মামলা।
বুধবার সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনীকে ফাঁকি দিয়ে দুইজন যুবক লোকসভা কক্ষের ভিজিটার গ্যালারি থেকে লাফিয়ে সাংসদদের মধ্যে চলে আসে। তারা হলুদ রঙের স্প্রে ফগ ব্যবহার করে। কিছুক্ষণের চেষ্টায় সংসদরাই ওই দুজন যুবককে ধরে ফেলে এবং নিরাপত্তার রক্ষীর হাতে তুলে দেয়। সংসদের বাইরেও একজন মহিলা ও একজন পুরুষকে নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করে।
কিভাবে সংসদের কঠিন নিরাপত্তা বলয়কে ফাঁকি দিয়ে স্প্রে নিয়ে ওই দুই যুবক সংসদে প্রবেশ করলো? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে সকলের মনে। বুধবারের ঘটনার পরে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা খুবই জোরদার করা হয়েছে।