বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার জন্য এফআইআর দায়ের হয়েছে। কাল বিলম্ব না করেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে লালবাজার।
এবার এর পাল্টা নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো এরাজ্যে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়করা তিন দিন ধরে আম্বেদকার মূর্তির যে জায়গায় বসে ধর্না দিয়েছিলেন সেই জায়গাটা গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা শুক্রবার মাথায় কলসিভর্তি গঙ্গাজল নিয়ে বিধানসভায় আসেন ও আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে দেন ।
বিজেপির বিধায়করা জানান , তৃণমূলের কর্মসূচির জেরে ওই ধর্নাস্থল ‘অপবিত্র’ হয়েছে। ‘শুদ্ধিকরণ করা দরকার, তাই তাঁদের এই উদ্যোগ। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতো মণিষীর পাশে বসার অধিকার ওঁর নেই। আমরা সনাতন ধর্মের পবিত্রতা মেনেই ওই জায়গাটি পবিত্র করলাম।”
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, “বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে বিধানসভায় বিভিন্ন ধরনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। উনি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তখন বিধানসভায় ভাঙচুর করেছিলেন। ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী বসে আছেন, সেখানে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চোর। মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় জেল খাটা ব্যক্তিকে রেখে দিয়েছেন। সততার কথা বলে এসে যে মন্ত্রিসভা উনি গড়েছেন তার একের পর এক সদস্য জেলে যাচ্ছেন। আমরা মনে করছি এই ধরনের ব্যক্তির উপস্থিতি আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশকে অপবিত্র করেছে।”
উল্লেখ্য যে,গত বুধবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিধানসভার আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে বসে মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল বিধায়করা ধরনা দিচ্ছিলেন। ধরনার সময় তৃণমূল বিধায়করা জাতীয় সংগীত গান। ওই স্থানের কিছুটা দূরেই তখন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। অভিযোগ ওঠে যখন তৃণমূলের বিধায়করা জাতীয় সংগীত গাইছিলেন তখন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়করা স্লোগান দিচ্ছিলেন ও বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। এটা জাতীয় সংগীতের অবমাননা বলে মনে করে তৃণমূলের বিধায়করা।
এরপর বিজেপির ১২ জন বিধায়ক এর বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে লালবাজারে উপস্থিত হওয়ার নোটিশ জারি করে হয়েছে।